জুলকারের ব্যক্তিত্বে বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার আগ্রহ

 


দিয়ার কর্মকাণ্ডে খুব অবাক হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা। গল্পের নায়ক জুলকার নাঈনকে নিয়ে তিনি খোঁজ- দ্যা সার্চ ওয়ার্ল্ডে নেমেছেন। স্পাই নিয়োগ করেছেন জুলকার সমন্ধে জানার জন্য।

জুলকারকে তরমুজ পাঠিয়ে দিয়া মির্জা লঙ্কা কাণ্ড বাঁধিয়েছেন দিয়া মির্জা। বলিউড পাড়ায় এখনও চলছে আনাগোনা। এই ঘটনার জের ধরে নতুন নায়িকার সংযোজন ঘটেছে।   

দিয়ার কর্মকাণ্ডে খুব অবাক হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা। গল্পের নায়ক জুলকার নাঈনকে নিয়ে তিনি খোঁজ- দ্যা সার্চ ওয়ার্ল্ডে নেমেছেন। স্পাই নিয়োগ করেছেন জুলকার সমন্ধে জানতে।

দিয়া মির্জার সঙ্গে বাংলাদেশের একজন পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ক জার্নালিস্টের এমন গভীর বন্ধুত্ব কি করে সম্ভব? কারণ খুঁজতে মরিয়া বিশ্বের কনিষ্ঠতম এই সুন্দরী অভিনেত্রী।

দিয়া এবং জুলকারের বন্ধুত্ব সম্পর্কে উর্বশী রাউতেলা নিজের টুইটার একাউন্টে ইতোমধ্যে বেশ কিছু উষ্ণ মন্তব্য করেছেন।

উর্বশী জুলকারের অফিসিয়াল ফেইসবুক একাউন্টে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। তবে উর্বশীর মিডিয়া ম্যানেজার ব্যক্তিগতভাবে জুলকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এখনও জুলকারের কোন সারা পাওয়া যায় নি।

এই ঘটনায় দিয়া মির্জা তাৎক্ষনিক কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া জানায় নি।           

দিয়া মির্জার বাংলাদেশে তরমুজ প্রেরণের জের ধরেই এমন ঘটনার সূত্রপাত। জুলকারের প্রতি উর্বশী রাউতেলার এমন আগ্রহ নতুন কিছুর ইঙ্গিত কিনা এমন গুঞ্জনই চলছে বলিউড পাড়ায়।   

একনিষ্ঠ বন্ধু জুলকারকে ভারত থেকে তরমুজ গিফট পাঠিয়েছেন তিনি।

দিয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন বাংলাদেশে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন জুলকার মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য ফলের দোকান থেকে আর তরমুজ কিনে খাচ্ছেন না। তখনই তিনি বাংলাদেশে তরমুজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ নিয়ে ভারতের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। দুজনের বন্ধুত্ব নিয়ে নতুন গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন শিরোনামে নিউজ হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকায়।

কিভাবে দিয়ার সঙ্গে জুলকারের বন্ধুত্ব হয়েছিল?

তবে সকলের এই তথ্যটি অজানা। প্রথম যেদিন জুলকার এবং দিয়া মির্জার দেখা হয়, সেদিন দিয়া মির্জা পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলনের একটি গার্ডেন হলের ডাইনিং এ কাটাচামচ দিয়ে তরমুজের স্লাইস জুলকারের মুখে তুলে দিয়েছিলেন। এভাবেই শুরু হয়েছিল দুজনের বন্ধুত্ব।  

দুই দিন আগেই প্রচণ্ড গরমে জুলকারের অস্থিরতার খোঁজ নিয়েছেন দিয়া মির্জা। কারণ প্রচণ্ড গরম দেখা দিলেই জুলকারের শারীরিক অস্থিরতা খানিক বেড়ে যায়। 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

রম্য রচনাটি সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত এবং বিনোদনের জন্য লেখা হয়েছে। বাস্তব কোন ঘটনার সঙ্গে এই রম্য রচনার মিল খুঁজে পাওয়া গেলেও সেটা সম্পূর্ণ বিনোদন হিসেবেই গ্রহণ করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।

জুলকার নাঈন সম্পর্কে বিস্তারিত

জুলকার নাঈন একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তাঁর পোর্টফোলিও পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত রিপোর্ট এবং আর্টিকেল সমৃদ্ধ। তিনি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অভিবাসন বিষয়ে রিপোর্ট করে থাকেন।

জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশের একজন নাগরিক হিসাবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অধিক রিপোর্ট প্রকাশে আগ্রহী। তাঁর ক্লাইমেট ট্র্যাকারের সঙ্গে একত্রে জন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ক্লাইমেট ফাইন্যান্স নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকার দক্ষিণ এশিয়া নেটওয়ার্কে জড়িত। তরুণদের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাংবাদিক সৃষ্টি করাই ক্লাইমেট ট্র্যাকারের লক্ষ্য।

তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকারের একজন দক্ষিণ এশিয়া ফেলো। তিনি নির্ধারিত একটি এসাইনম্যান্টের অধীনে বিভিন্ন মিডিয়াতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন।

এছাড়া, জুলকার ক্লাইমেট ট্র্যাকারের ট্রেইন দ্যা ট্রেনার সার্টিফাইড একজন সাংবাদিক যিনি যে কোনও জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিকতার কোর্সটি ডিজাইন করতে পারেন।

জুলকার নাঈন অন্যান্য ক্লাইমেট ট্র্যাকার কর্মীদের সহায়তায় কোর্স তৈরি করেছেন। একজন তরুণ ক্লাইমেট এডভোকেট হিসাবে তাঁর লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের জ্ঞান সমাজে ছড়িয়ে দেয়া।

জুলকার কমিউনিকেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস থেকে মিডিয়া স্টাডিজ এবং সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

Comments

Popular posts from this blog

চাঁদে ভেসে উঠেছে জুলকারের চেহারা, বৈঠকে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঈদের ঘোষানা