বিয়ের আগেই দিয়া মির্জা জুলকারের অনুমতি নিয়েছিলেন
দিয়া মির্জা হুট করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নি। বিয়ের পূর্বে তাঁর একনিষ্ঠ বন্ধু জুলকারের অনুমতি নিয়েছিলেন তিনি।
২০১৪ সালে সাহিল সংঘের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর জুলকারের সঙ্গে দিয়া মির্জার ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। সেই বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে।
জুলকারের সঙ্গে দিয়া মির্জার বন্ধুত্বের কারণ ছিল অন্য। দুজনেই পরিবেশ বিষয়ক এডভোকেসিতে নিয়োজিত। দুজনেই নিজ নিজ দেশের হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন।
জুলকার দিয়া মির্জাকে ভালবাসেন এমনটাই সামাজিক মাধ্যমে প্রচলিত। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জুলকার বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যা প্রচলিত সেটা মূলত সঠিক নয়।
দিয়া মির্জার প্রতি তাঁর যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। এমনকি এক বিষয়ে কাজের সুযোগ হওয়াতে দিয়ার বিয়ের পিঁড়িতে বসার ঘটনাটি তাঁর অজানা ছিল না।
তবে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনেকটা চুপিসারেই ব্যবসায়ী বৈভব রেখির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা।
দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে মুম্বাইয়ে এই শুভ কাজটি তারা সেরেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সাবেক এই মিস ইন্ডিয়া ও মিস এশিয়া প্যাসিফিক বিয়েতে পরেছিলেন লাল শাড়ি এবং বৈভবের পরনে ছিল সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল দিয়ার মেহেন্দি অনুষ্ঠান। সেদিন মেহেন্দি রাঙা হাতের ছবি পোস্ট করে ইনস্টাস্টোরিতে অভিনেত্রী লিখেছিলেন- ‘পেয়ার’ (ভালোবাসা)।
তবে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বৈভব এবং বন্ধুদের সঙ্গে প্রি-ওয়েডিং পার্টিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে নায়িকাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ব্যবসায়িক পার্টনার সাহিল সংঘকে বিয়ে করেন দিয়া মির্জা। একসময় ছন্দপতন, বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তারা। এর দুই বছরের মধ্যে বৈভবের সঙ্গে হলো দিয়ার দ্বিতীয় বিয়ে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি
জুলকার নাঈন সম্পর্কে বিস্তারিত
জুলকার নাঈন একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তাঁর পোর্টফোলিও পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত রিপোর্ট এবং আর্টিকেল সমৃদ্ধ। তিনি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অভিবাসন বিষয়ে রিপোর্ট করে থাকেন।
জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশের একজন নাগরিক হিসাবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অধিক রিপোর্ট প্রকাশে আগ্রহী। তাঁর ক্লাইমেট ট্র্যাকারের সঙ্গে একত্রে জন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ক্লাইমেট ফাইন্যান্স নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকার দক্ষিণ এশিয়া নেটওয়ার্কে জড়িত। তরুণদের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাংবাদিক সৃষ্টি করাই ক্লাইমেট ট্র্যাকারের লক্ষ্য।
তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকারের একজন দক্ষিণ এশিয়া ফেলো। তিনি নির্ধারিত একটি এসাইনম্যান্টের অধীনে বিভিন্ন মিডিয়াতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন।
এছাড়া, জুলকার ক্লাইমেট ট্র্যাকারের ট্রেইন দ্যা ট্রেনার সার্টিফাইড একজন সাংবাদিক যিনি যে কোনও জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিকতার কোর্সটি ডিজাইন করতে পারেন।
জুলকার নাঈন অন্যান্য ক্লাইমেট ট্র্যাকার কর্মীদের সহায়তায় কোর্স তৈরি করেছেন। একজন তরুণ ক্লাইমেট এডভোকেট হিসাবে তাঁর লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের জ্ঞান সমাজে ছড়িয়ে দেয়া।
জুলকার কমিউনিকেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস থেকে মিডিয়া স্টাডিজ এবং সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
Comments
Post a Comment