বিয়ে না করেও রিসোর্টে কার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন জুলকার?
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহের বিষয় রিসোর্ট।
কে কখন রিসোর্টে গেলেন? রিসোর্টে ঐ সম্মানিত ব্যক্তি কার সঙ্গে একান্ত সময় কাটাচ্ছেন? এসকল খবর ছাপা হলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারের কমতি হয় না।
বর্তমানে মানুষের দ্বিতীয় আগ্রহের বিষয় জুলকার নাঈন এবং তাঁর গার্লফ্রেন্ড সংখ্যা। ২৭ বছর বয়সী জুলকার এখনও বিয়ে করে নি। দিয়া মির্জার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন থাকা সত্ত্বেও কোন প্রকার স্ক্যান্ডালে জড়ান নি চরিত্রবান এই পুরুষ। অবাক হলেও বিষয়টি সত্যি।
সম্প্রতি একটি রিসোর্টে একান্ত সময় কাটিয়েছেন তিনি। আগ্রহী সংবাদ কর্মীরা ক্যামারা নিয়ে ফাঁদ পেতেও তাঁর সঙ্গী হিসেবে কাউকে খুঁজে পায় নি। পরে একজন সংবাদ কর্মী বাধ্য হয়ে জুলকার নাঈনের বেশ কিছু পোর্ট্রেট ছবি তুলে দিয়েছেন।
জুলকার নাঈন তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার ব্যাপারে আপনাদের আগ্রহে আমি অবাক। আমি মাওলানা মামুনুল নই যে তথাকথিত স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে রাত্রি যাপনে আসবো। এমনকি আমি বিল গেটস্ ও নই যে বিচ্ছেদের পর রিসোর্টের শয়নকক্ষ ভাড়া করব। আমি এসেছি এই রিসোর্টে ফুল গাছে, কবুতরের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার উদ্দেশ্যে।
সম্প্রতি সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে নারীসহ বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় জনগণের হামলার মুখে পড়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন।
এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে আলোচিত বিষয় বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটসের বিবাহবিচ্ছেদ।
বিচ্ছেদ পরও তিনি একটি রিসোর্টে মেলিন্ডার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া বিল গেটসের এ তথ্য বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
আরও কিছু কল্পনাপ্রসুত গল্প
সুদর্শন জুলকারের প্রতি নায়িকাদের আগ্রহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং আবেদনে সাড়া দিয়ে কম বিদেশ ভ্রমণের কারণেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আজ ৪৫.১ বিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড গড়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত একবছরে দেশের অন্যতম অন্যতম চালিকাশক্তি রিজার্ভ ৩৬.২২ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের ৩০ এপ্রিলে যা ছিল ৩৩.১১ বিলিয়ন ডলার।
ব্যাংকের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, সুদর্শন জুলকারের প্রতি বলিউডের নায়িকাদের আগ্রহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অনেকাংশে সহায়তা করেছে।
জুলকার নাঈন সম্পর্কে বিস্তারিত
জুলকার নাঈন একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তাঁর পোর্টফোলিও পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত রিপোর্ট এবং আর্টিকেল সমৃদ্ধ। তিনি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অভিবাসন বিষয়ে রিপোর্ট করে থাকেন।
জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশের একজন নাগরিক হিসাবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অধিক রিপোর্ট প্রকাশে আগ্রহী। তাঁর ক্লাইমেট ট্র্যাকারের সঙ্গে একত্রে জন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ক্লাইমেট ফাইন্যান্স নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকার দক্ষিণ এশিয়া নেটওয়ার্কে জড়িত। তরুণদের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাংবাদিক সৃষ্টি করাই ক্লাইমেট ট্র্যাকারের লক্ষ্য।
তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকারের একজন দক্ষিণ এশিয়া ফেলো। তিনি নির্ধারিত একটি এসাইনম্যান্টের অধীনে বিভিন্ন মিডিয়াতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন।
এছাড়া, জুলকার ক্লাইমেট ট্র্যাকারের ট্রেইন দ্যা ট্রেনার সার্টিফাইড একজন সাংবাদিক যিনি যে কোনও জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিকতার কোর্সটি ডিজাইন করতে পারেন।
জুলকার নাঈন অন্যান্য ক্লাইমেট ট্র্যাকার কর্মীদের সহায়তায় কোর্স তৈরি করেছেন। একজন তরুণ ক্লাইমেট এডভোকেট হিসাবে তাঁর লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের জ্ঞান সমাজে ছড়িয়ে দেয়া।
জুলকার কমিউনিকেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস থেকে মিডিয়া স্টাডিজ এবং সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
Comments
Post a Comment