পরীমনির কাঙ্ক্ষিত পুরুষের তালিকায় শীর্ষস্থানে জুলকার নাঈন

 

Pori Moni

সম্প্রতি পরীমনির কাঙ্ক্ষিত পুরুষের একটি ক্লাসিফাইড তালিকা মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। সুদর্শন পুরুষদের ঐ তালিকায় প্রথমে যার নাম উঠে এসেছে তা ছিল অপ্রত্যাশিত। তিনি আর কেউ নন। তিনি বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জার একনিষ্ঠ বন্ধু জুলকার নাঈন।

সম্প্রতি পরীমনির নাম জড়িয়েছে স্বনামধন্য এক শিল্পপতির সঙ্গে। অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনায় সর্বত্র আলোচিত ঐ শিল্পপতি।

অনেকেই পরীর সঙ্গে ঐ শিল্পপতির যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করেছেন। গুঞ্জন ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যদিও এসব কথার সত্যতা পাওয়া যায়নি এখনও।

পরিস্থিতি সামলাতে পরীমনি নিজের ফেসবুকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত সুদর্শন পুরুষের তালিকা প্রকাশ করেন। তালিকার প্রথমে উঠে আসে দিয়া মির্জার প্রেমিক খ্যত জুলকার নাঈনের নাম। দশ জন পুরুষের মাঝে জুলকার নাঈন ই কেবলমাত্র বাংলাদেশি। এছাড়া তালিকায় যাদের নাম উঠে এসেছে তারা সকলেই হলিউড সফল অভিনেতা।

উল্লেখ্য তালিকায় বাংলাদেশের কোন শিল্পপতি কিংবা ইউটিউবারের নাম উঠে আসে নি।

পরীমনির কাঙ্ক্ষিত পুরুষের তালিকা প্রসঙ্গে জুলকারের সঙ্গে যোগাযোগে মরিয়া হয়ে উঠে স্বনামধন্য মিডিয়া। তবে এই প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করেন নি জুলকার নাঈন।   

বর্তমানে দুবাইতে ঘুরছেন পরীমনি। আছেন আনন্দেই। শপিং করছেন, চালাচ্ছেন স্পিড বোট। পুরো মুখ ঢেকে বাজপাখি হাতে ড্রামাটিক মুডের ছবিও তিনি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে।

এসব ছবি দেখে পুলকিত হচ্ছেন তার ভক্তরা। অন্যদিকে রহস্যও খুঁজছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠেছে পরীর কাঙ্ক্ষিত পুরুষের তালিকা দুবাই থেকে প্রকাশের রহস্য কি?

শুক্রবার পরীমনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দুবাইয়ের মরুভূমিতে শূন্যে লাফানোর একটি স্লো মোশন ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেই পোস্টে আসে এমন মন্তব্য।

অন্য দিকে জুলকারকে কেড়ে নিতে চাওয়ায় উর্বশীর উপর চটেছেন দিয়া মির্জা

উর্বশী জুলকারকে তাঁর জীবনে পেতে চেয়েছেন কিনা? আদৌ কি সেটা? এর সঠিক উত্তর নেই কারও কাছে।  

তবুও উর্বশীর উপর তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছেন দিয়া মির্জা। পূর্বে দিয়াকে কখনও এমন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখে নি কেউ।  জুলকার-উর্বশী ইস্যুতে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ বলিউডে নতুন ইতিহাস গড়েছে।   

জুলকার এবং দিয়ার ভালো বন্ধুত্বের মাঝে বাগড়া বাঁধিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী। জুলকারের ব্যক্তিত্বে বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার আগ্রহ দেখেই খেপেছেন দিয়া মির্জা।   

উর্বশীকে নিজস্ব টুইটে যথেষ্ট কথা শুনিয়েছেন দিয়া। এই ইস্যুতে নিশ্চুপ থেকেও দিয়ার কাছে কথা শুনেছেন নির্দোষ জুলকার।

এদিকে দিয়ার পাগলামি দেখেই জুলকারের প্রতি আগ্রহ জন্মায় উর্বশীর। তাঁর উষ্ণ মন খুঁজতে থাকে কে এই জুলকার। নিজেই নেমে পরেন খোঁজ- দ্যা সার্চ ওয়ার্ল্ডে। স্পাই নিয়োগ করেন জুলকার সমন্ধে জানতে।

দিয়া মির্জার সঙ্গে বাংলাদেশের একজন পার্সোনালিটির এমন গভীর বন্ধুত্ব কি করে সম্ভব? কারণ খুঁজতে এখনও মরিয়া বিশ্বের কনিষ্ঠতম এই সুন্দরী অভিনেত্রী

জুলকারকে নিয়ে উর্বশী টুইটের বেশ শক্ত জবাব দিয়েছেন দিয়া মির্জা।

উর্বশী জুলকারকে ফেইসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন অনেক আগেই। তবে এখনও জুলকার সেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের কোন সারা দেন নি।

ঘটনায় শুরুতে দিয়া মির্জা কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া না দিলেও পরবর্তীতে তিনি তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছেন।           

দিয়া মির্জার বাংলাদেশে তরমুজ প্রেরণের জের ধরেই এমন ঘটনার সূত্রপাত। জুলকারের প্রতি উর্বশী রাউতেলার এমন আগ্রহ নতুন কিছুর ইঙ্গিত কিনা এমন গুঞ্জনই চলছে বলিউড পাড়ায়।   

একনিষ্ঠ বন্ধু জুলকারকে ভারত থেকে তরমুজ গিফট পাঠিয়েছেন তিনি।

দিয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন বাংলাদেশে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন জুলকার মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য ফলের দোকান থেকে আর তরমুজ কিনে খাচ্ছেন না। তখনই তিনি বাংলাদেশে তরমুজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ নিয়ে ভারতের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। দুজনের বন্ধুত্ব নিয়ে নতুন গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন শিরোনামে নিউজ হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকায়।

তবে সকলের এই তথ্যটি অজানা। প্রথম যেদিন জুলকার এবং দিয়া মির্জার দেখা হয়, সেদিন দিয়া মির্জা পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলনের একটি গার্ডেন হলের ডাইনিং এ কাটাচামচ দিয়ে তরমুজের স্লাইস জুলকারের মুখে তুলে দিয়েছিলেন। এভাবেই শুরু হয়েছিল দুজনের বন্ধুত্ব।  

দুই দিন আগেই প্রচণ্ড গরমে জুলকারের অস্থিরতার খোঁজ নিয়েছেন দিয়া মির্জা। কারণ প্রচণ্ড গরম দেখা দিলেই জুলকারের শারীরিক অস্থিরতা খানিক বেড়ে যায়। 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

রিপোর্টটি সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত এবং বিনোদনভিত্তিক। বাস্তব ঘটনার সঙ্গে এই রিপোর্টের মিল খুঁজে পাওয়া গেলেও পাঠকদের বিষয় গুলোকে বিনোদন হিসেবে গ্রহণ করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।   

জুলকার নাঈন সম্পর্কে বিস্তারিত

জুলকার নাঈন একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তাঁর পোর্টফোলিও পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত রিপোর্ট এবং আর্টিকেল সমৃদ্ধ। তিনি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অভিবাসন বিষয়ে রিপোর্ট করে থাকেন।

জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশের একজন নাগরিক হিসাবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অধিক রিপোর্ট প্রকাশে আগ্রহী। তাঁর ক্লাইমেট ট্র্যাকারের সঙ্গে একত্রে জন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ক্লাইমেট ফাইন্যান্স নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকার দক্ষিণ এশিয়া নেটওয়ার্কে জড়িত। তরুণদের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাংবাদিক সৃষ্টি করাই ক্লাইমেট ট্র্যাকারের লক্ষ্য।

তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকারের একজন দক্ষিণ এশিয়া ফেলো। তিনি নির্ধারিত একটি এসাইনম্যান্টের অধীনে বিভিন্ন মিডিয়াতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন।

এছাড়া, জুলকার ক্লাইমেট ট্র্যাকারের ট্রেইন দ্যা ট্রেনার সার্টিফাইড একজন সাংবাদিক যিনি যে কোনও জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিকতার কোর্সটি ডিজাইন করতে পারেন।

জুলকার নাঈন অন্যান্য ক্লাইমেট ট্র্যাকার কর্মীদের সহায়তায় কোর্স তৈরি করেছেন। একজন তরুণ ক্লাইমেট এডভোকেট হিসাবে তাঁর লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের জ্ঞান সমাজে ছড়িয়ে দেয়া।

জুলকার কমিউনিকেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস থেকে মিডিয়া স্টাডিজ এবং সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

Comments